শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ধীরে ধীরে নামছে শীত

রাজশাহীতে ধীরে ধীরে নামছে শীত

রাজশাহীতে ধীরে ধীরে নামছে শীত
রাজশাহীতে ধীরে ধীরে নামছে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীসহ আশেপাশের সব এলাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ । ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ।

রাজশাহীতে এখন সারাদিন তাপমাত্রা মোটমুটি স্বাভাবিক থাকছে। তবে বিকাল গড়ালেই কমছে তাপমাত্রা। সারারাতই তাপমাত্রা কম থাকছে। রাত বাড়াই সাথে সাথেই অনুভূত হচ্ছে শীত। তাই কাঁথা সরিয়ে কম্বল গায়ে জড়াচ্ছেন কেউ কেউ। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখা যাচ্ছে হালকা কুয়াশা। ঘাসের উপর দেখা যাচ্ছে শিশিরবিন্দু।

বাংলা পঞ্জিকার পাতায় এখনও হেমন্তকাল। সেই হিসেব অনুযায়ী প্রকৃতিতে বিরাজ করছে হেমন্তের মাস কার্তিক। আসবে অগ্রহায়ণ। তারপর বিদায় নেবে হেমন্ত।

হেমন্তের বিদায়ের পরেই প্রকৃতিতে নেমে আসবে শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে শীতের আমেজ।
পৌষ ও মাঘ আসতে এখনও কিছুটা দেরি থাকলেও প্রকৃতিতে বেজে উঠেছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের আগমনী বার্তা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছে রাজশাহীবাসী।

শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষের উপরও। নগরীর অটো চালক রিক্সাচালক নবাব সন্ধ্যার পরে গায়ে চাদর দিয়ে অটো চালাচ্ছেন। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরেই সকাল আর সন্ধ্যায় চাদর গায়ে দিয়ে রিকশা চালাই। এই সময় বেশ ভাল শীত লাগে। চাদর গায়ে না দিয়ে রিকশা চালাতে অসুবিধা হয়।

এদিকে শীতের এই আগমনে নগরীর মোড়ে মোড়ে ধুম পড়েছে ভাপা পিঠা বিক্রির। শীতকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে খেজুর রস সংগ্রহকারীদের। খেজুর গাছ প্রস্তুত করার জন্যগাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে নগরীতে গরম কাপড় কেনার চাহিদা বাড়ছে। তাই ফুটপাতেই ইতিমধ্যেই অনেকে গরম কাপড়ের পসরা সাজাতে শুরু করেছেন। সেখান থেকে অনেকেই এখন কেনাকাটাও শুরু করেছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীতে ইতোমধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দুপুরে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও সকাল-সন্ধ্যা তাপমাত্রা অনেক কমে যাচ্ছে। তখন অনুভূত হচ্ছে শীত।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এই রকম তাপমাত্রার কারণে এখন নানা রকমের রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই হেমন্তের শীতকে অবহেলা না করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রবীর মোহন বসাক বলেন, এখন হালকা হালকা শীত পড়ছে। এই শীতকে অবহেলা করা যাবে না। শিশু এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই তাদের দিকে বেশি যত্নশীল হতে হবে। যদি ঠান্ডা কিংবা জ্বরসহ কোন ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৮ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply